বশেমুরকৃবি’র নতুন ভিসি ড. মোস্তাফিজুর রহমান
-
আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১০-২০২৪
গাজীপুরে
অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) এর নতুন ভিসি
হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন
মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ড. জি.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান। গত
রোববার রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর অনুমোদিত
ও মো. শাহীনুর ইসলাম
(উপ-সচিব) স্বাক্ষরিত শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
বিভাগ কর্তৃক এ সংক্রান্ত
প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তিনি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ভিসি হিসেবে
পূর্বসুরী প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়ার
স্থলাভিসিক্ত হলেন।
মোস্তাফিজুর রহমান ২০০৮ সালে
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হন। এর
আগে তিনি বিভাগীয় প্রধান
এবং প্রভোস্ট এর দায়িত্ব পালন
করেছেন। ১৯৮৮
সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
কৃষিতে সম্মান ডিগ্রি (বিএসসি)
এবং ১৯৯৩তে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে
উৎকৃষ্ট ফলাফলের সঙ্গে মাস্টার্স (এমএসসি)
ডিগ্রি লাভ করেন এ
অধ্যাপক। পরে
২০০০ সালে জাপানের চিবা
বিশ্ববিদ্যালয়ের পেস্টিসাইড টক্সিকোলজি ল্যাবরেটরি থেকে ‘মৃত্তিকা দূষণ
গবেষণা’ বিষয়ে পিএইচডি লাভ
করেন। এর
আগে তিনি প্রায় ১৪
বছর বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা
ইনস্টিউট এর সিনিয়র বিজ্ঞানী
হিসেবে কাজ করেছেন।
প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান চীনের বিজ্ঞান
একাডেমি এবং সৌদি আরবের
কিং আবদুল আজিজ সিটি
ফর সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এর
একজন ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা
করেন। নবনিযুক্ত
এ ভাইস-চ্যান্সেলরের ১০০টির
বেশি প্রকাশনা রয়েছে যার অধিকাংশ
এসসিআই থমসন রয়টার্স কর্তৃক
প্রকাশিত। কৃষি
ও পরিবেশে অগাধ জ্ঞানের পাণ্ডিত্যের
স্বরূপ তিনি এশিয়া ও
প্রশান্ত মহাসাগরীয় রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও
পরিবেশ প্রকৌশল সমিতি (অচঈইঊঊঝ), আন্তর্জাতিক
মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইউনিয়ন (ওটঝঝ) প্রভৃতি সংস্থার
গর্বিত সদস্য। বাংলাদেশের
এসিড মাটি অঞ্চলের জন্য
বিশেষ চুন প্রযুক্তি (২০১৪)
উদ্ভাবনের সঙ্গে সক্রিয়া ভূমিকা
রাখেন।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত এ গবেষক সফলভাবে
বহু গবেষণা প্রকল্পের তত্ত্বাবধান
করেছেন যার মধ্যে, মাটির
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, শিল্প দূষণ মূল্যায়ন
ও ব্যবস্থাপনা অন্যতম। এ
ছাড়া বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থায়িত বহু
প্রকল্পের বিভিন্ন সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন
এ পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
এ ছাড়াও তিনি মালয়েশিয়ার
পুত্রজায়া বিশ্ববিদ্যালয় (টচগ) ও বাংলাদেশ
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সটার্নাল পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান
এ পর্যন্ত ২৮ জনের অধিক
পিএইচডি ও ৪৮ জন
এমএস গবেষণা শিক্ষার্থীকে সুপারভিশন
করেছেন।
এদিকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার
হলেন কৃষি সম্প্রসারণ ও
গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের জ্যেষ্ঠ
অধ্যাপক ড. মো. সফিউল
ইসলাম আফ্রাদ। রাষ্ট্রপতি
ও চ্যান্সেলর অনুমোদিত ও মো. শাহীনুর
ইসলাম (উপসচিব) স্বাক্ষরিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক
ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ
কর্তৃক এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
জারি করা হয়।
তিনি অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম
ট্রেজারার হিসেবে পূর্বসুরী প্রফেসর
তোফায়েল আহমেদ এর স্থলাভিসিক্ত
হলেন।
শেয়ার করুন
