২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেশের প্রধান দুই শত্রু বিএনপি আর ডেঙ্গু: ওবায়দুল কাদের মিয়ানমারের নাগরিকের সহযোগিতায় মানব পাচার পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন নবাব আলী হাসিব খান বানভাসি মানুষের পাশে মুগদা থানা ইমাম উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি মুফতি শফিকুল ইসলাম মাজহারীর নগদ অর্থ বিতরণ আদালত কর্তৃক উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যা মামলার ৪ আসামির জামিন আবারও না মঞ্জুর ৩ জেলায় উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ নৌ পুলিশ ও ডাকাতদলের মধ্যে গোলাগুলির আহত ৪, আটক ১ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যাকান্ডে জড়িতরা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাবলা ডাকাত ও কবিরখালাশীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার


গাজার মহারাজা বাড্ডার হুমায়ূন
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৪-২০২২
গাজার মহারাজা বাড্ডার হুমায়ূন



অনুসন্ধানের প্রথম পর্ব


উত্তর বাড্ডা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ হুমায়ূন নামে এক ব্যক্তি গাজা সেবন এবং গাজা বিক্রি করে আসছেন। গোপন সূএে জানা যায়,হাজীপাড়া এলাকার হুমায়ূন বর্তমানে আশে পাশে প্রতিটি স্পটে গাজার ডিলার হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠে। রাজধানী উত্তর বাড্ডা এলাকার গাজা সেবনকারী এবং বিক্রেতাদের সুপরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে এই হুমায়ূন। বর্তমানে হুমায়ন হয়ে উঠেছেন গাজার মহারাজা। হুমায়ূনের এমন অপকর্মে কাজের জন্য এলাকাবাসী এক ধরনের অনিশ্চিত জীবন যাপন করে আসছে। বর্তমানে হুমায়ূন প্রতিদিন ৫০০ গ্রামের কম গাজা বিক্রি করেননা বলে জানা যায়।


যার বাজার মুল্য বর্তমানে কম করে হলেও ১৫ হাজার টাকা। তাদের গাজা সেবন এবং বিক্রিতে নষ্ট হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া অসংখ্য ছাত্র এবং যুব সমাজ। গাজার ভয়াল গ্রাসে নিমজ্জিত হচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থীরা। করোনা ক্রান্তিলগ্নে হুমায়ূনের ব্যবসা ছিলো রমরমা। বর্তমানে হুমায়ূনের সাথে কিছু সেলসম্যানের নাম ও জানা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় উত্তর বাড্ডা হাজিপাড়া এলাকার গনি মোল্লা জানান, “আমি বহু আগে থেকে জানি হুমায়ূনের গাজা সেবন করেন এবং হুমায়ূন দুই সেলসম্যান দিয়ে গাজা বিক্রি করেন বলেও শুনেছি। গাজা বিক্রির সময় বেশ কয়েকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন হুমায়ূন। হুমায়ূন জেল ও খেটেছেন কয়েকবার। জেল হাজত খাটলেও তাদের সেবন এবং গাজা বিক্রি বন্ধ করেননি।

জেল হাজত থেকে বেড়িয়েই আবার ব্যবসা শুরু করে তারা। স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, হুমায়ূন গাজা বিক্রি করার আগে অন্যের পিক-আপের গাড়ি চালাতেন। বর্তমানে হুমায়ূনের নিজেস্ব দুইটি পিকআপ গাড়ি রয়েছে। মূলত গাড়ি চালালোর পর হইতে সে এলাকায় গাজা বিক্রি করা শুরু করে। বর্তমানে হুমায়ূন গাজার পাশাপাশি ইয়াবা ও সেবন করে ও ইয়াবার ব্যবসার সাথে জড়িত। এই মাদকের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা আমাদের সন্তান নিয়ে আতঙ্কে থাকি। স্থানীয় জব্বার আলী(৫৫) জানান,হুমায়ূন গাজাসহ একাধিকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।এইতো কিছুদিন আগেও হুমায়ূন তার নিজ ঘড় হইতে গাজাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো। তার আগেও কয়েকবার গাজাসহ ধরা পড়েছে।


কয়েকটি মামলাও আছে হুমায়ূন ও তার দুই সেলসম্যানের নামে। বর্তমানে খুচরা বিক্রি কমিয়ে পাইকারি বিক্রি শুরু করেছেন তারা। অনুসন্ধানের আড়ালে স্থানীয় কিছু ছেলেদেরকে মেনেজ করেই চালাতেন হুমায়ূনের এই অপকর্ম। স্থানিয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির রাস্তার আড়ালে খুচরা ও পাইকারি গাজার ব্যবসা শুরু করেছে হুমায়ূন। আমরা আমাদের সন্তান এবং যুব সমাজকে গাজার ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং হুমায়ূন সহ এলাকার সকল মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।


এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিককে জানান,হুমায়ূনের গাজা বেঁচার তথ্য আছে আমাদের কাছে। একাদিকবার তাকে আমরা গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলেও আবার বের হয়ে সে একই কাজে নেমে পড়ছে। ইয়বা বিক্রির ব্যপারে তিনি বলেন,এই বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আছে হুমায়ূন গাজা বিক্রির পাশাপাশি ইয়াবা ও বিক্রি করছে। এখন আমরা খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো। 

শেয়ার করুন