২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:২১:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেশের প্রধান দুই শত্রু বিএনপি আর ডেঙ্গু: ওবায়দুল কাদের মিয়ানমারের নাগরিকের সহযোগিতায় মানব পাচার পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন নবাব আলী হাসিব খান বানভাসি মানুষের পাশে মুগদা থানা ইমাম উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি মুফতি শফিকুল ইসলাম মাজহারীর নগদ অর্থ বিতরণ আদালত কর্তৃক উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যা মামলার ৪ আসামির জামিন আবারও না মঞ্জুর ৩ জেলায় উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ নৌ পুলিশ ও ডাকাতদলের মধ্যে গোলাগুলির আহত ৪, আটক ১ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যাকান্ডে জড়িতরা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাবলা ডাকাত ও কবিরখালাশীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার


উওর বাড্ডা হাজী পাড়ায় বানিজ্যিক ভাবে গাজা বিক্রি
নিজস্ব প্রতিবেদক\
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১১-২০২১
উওর বাড্ডা হাজী পাড়ায় বানিজ্যিক ভাবে গাজা বিক্রি


ঢাকা জেলার উওর বাড্ডা হাজীপাড়া এলাকায় সহ-পরিবারে দীর্ঘদিন যাবৎ গাজা সেবন এবং গাজা বিক্রি করে আসছেন মনির তার বউ ও দুই ছেলে। গোপন সূএে জানা যায়,হাজীপাড়া স্থানীয় সুলতান মিস্তির মেয়ের জামাই মনিরের সহ পরিবারে রাজধানী উওর বাড্ডা এলাকার গাজা সেবনকারী এবং বিক্রেতাদের সুপরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে মনির হয়ে উঠেছেন গাজার মহারাজা। মনির ও তার দুই ছেলে হৃদয় এবং শাকিলের এমন অপকর্মে কাজের জন্য এলাকাবাসী এক ধরনের অনিশ্চিত জীবন যাপন করে আসছে। বর্তমানে মনির ২৫০ গ্রামের কম গাজা বিক্রি করেননা বলে জানা যায়। যার বাজার মুল্য বর্তমানে কম করে হলেও ১৫ হাজার টাকা। তাদের গাজা সেবন এবং বিক্রিতে নষ্ট হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া অসংখ্য ছাত্র এবং যুব সমাজ। গাজার ভয়াল গ্রাসে নিমজ্জিত হচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থীরা। করোনা ক্রান্তিলগ্নে মনির ও তার দুই ছেলের ব্যবসা ছিলো রমরমা। বর্তমানে মনির ও তার দুই ছেলের সাথে কিছু সেল ম্যানের নাম ও জানা যায়। তারা হলো মনিরের শালা রিপন এবং সেল ম্যান হেলাল। প্রতিদিন কমকরে হলেও ২ থেকে ৪ কেজি গাজা বিক্রি করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় উওর বাড্ডা হাজিপাড়া এলাকার চান মাহমুদ জানান, “আমি বহু আগে থেকে জানি মনির গাজা সেবন করেন এবং মনিরের দুই ছেলেকে দিয়ে গাজা বিক্রি করেন বলেও শুনেছি। গাজা বিক্রির সময় বেশ কয়েকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন মনির। মনির জেল ও খেটেছেন কয়েকবার। জেল হাজত খাটলেও তাদের সেবন এবং গাজা বিক্রি বন্ধ করেননি। জেল হাজত থেকে বেড়িয়েই আবার ব্যবসা শুরু করে তারা। স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মনির গাজা বিক্রি করার আগে সিএনজি গাড়ি চালাতেন। মূলত গাড়ি চালালোর পর হইতে সে এলাকায় গাজা বিক্রি করা শুরু করে। বর্তমানে মনির গাজার পাশাপাশি ইয়াবা ও সেবন করে ও ইয়াবার ব্যবসার সাথে জড়িত। এই মাদকের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা আমাদের সন্তান নিয়ে আতঙ্কে থাকি। স্থানীয় জব্বার আলী(৫৫) জানান, মনির গাজাসহ একাধিকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।এইতো কিছুদিন আগেও মনির আধা কেজি গাজাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো। তার আগেও কয়েকবার গাজাসহ ধরা পড়েছে। কয়েকটি মামলাও আছে মনির ও তার দুই ছেলের নামে। বর্তমানে খুচরা বিক্রি কমিয়ে পাইকারি বিক্রি শুরু করেছেন তারা। অনুসন্ধানের আড়ালে স্থানীয় কিছু ছেলেদেরকে মেনেজ করেই চালাতেন মনির এই অপকর্ম। স্থানিয় মুরুব্বী কফিলউদ্দিনের বাড়ির রাস্তার আড়ালে খুচরা ও পাইকারি গাজার ব্যবসা শুরু করেছে মনিরের দুই ছেলে শাকিল ও হৃদয়। আমরা আমাদের সন্তান এবং যুব সমাজকে গাজার ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং মনির সহ এলাকার সকল মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, মনির ও তার দুই ছেলের গাজা বেঁচার তথ্য আছে আমাদের কাছে। তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলেও আবার বের হয়ে তারা একই কাজে নেমে পড়ছে। ইয়বা বিক্রির ব্যপারে তিনি বলেন,এই বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আছে তারা গাজা বিক্রির পাশাপাশি ইয়াবা ও বিক্রি করছে। এখন আমরা খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো। ধারাবাহিক পর্বের ১ম পর্ব আজ,,,,,,,,

শেয়ার করুন