"ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো"-গানের স্রষ্টা, তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬৫তম জন্মবার্ষিকী বাগেরহাটের মোংলায় পালিত হয়েছে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে।
১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। অকালপ্রয়াত এই কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রুদ্র স্মৃতি সংসদ আজ শনিবার সকালে কবির গ্রামের বাড়ি মোংলা উপজেলার মিঠাখালী বাজার থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি মিঠাখালী বাজার প্রদক্ষিণ করে কবির সমাধিতে গিয়ে শেষ হয়। রুদ্র স্মৃতি সংসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পর কবির সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি, রুদ্রের অনুজ ও সাংবাদিক সুমেল সারাফাত, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান ও রুদ্র স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি মাহমুদ হাসান ছোট মনি, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নুর আলম শেখ, স্থানীয় ইউপি সদস্য উকিল উদ্দীন ইজারদারসহ রুদ্র স্মৃতি সংসদ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দরা।বিকেলে মিঠাখালী ফুটবল মাঠে প্রীতি ফুটবল, সন্ধ্যায় মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রুদ্র স্মৃতি সংসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট স্মরণ সভার আয়োজন করেছেন। স্মরণসভা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি ও রুদ্রের গান পরিবেশিত হবে।
মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’-সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। ‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দু'টির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দুইবছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন।
