<p><br></p>
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মূল কাজ হল দেশের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেমন বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা এবং দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা এর পাশাপাশি সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যেমন প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ জরিপ ,শিশু সুরক্ষা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, হিজড়া দলিত সম্প্রদায়কে বিশেষ ভাতা প্রদান সহ শিক্ষামূলক বৃত্তি সহ সরকারের নানা প্রকল্প সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে জেলা সমাজসেবার কার্যালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়।
কিন্তু অধিকাংশ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কিছু অসাধু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা অনিয়ম ঘুষ দুর্নীতি করে অসহায় নিম্ন শ্রেণীর মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করে নিজেরাই অনেকে হয়ে গেছেন শত শত কোটি টাকার মালিক, সম্প্রতি এমন একটি অভিযোগ এসেছে সিলেট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক শহিদুল ইসলাম ও উপপরিচালক আব্দুর রফিকের বিরুদ্ধে।
সিলেটের সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ঘুষ দুর্নীতি ও অসহায় নিম্ন শ্রেণীর মানুষের বিভিন্ন অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত তালিকায় দুইজনের নাম আলোচনার শেষে পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রফিক অভিযোগ আছে এই দুইজনের ছত্রছায়ায় ব্যাপক লুটপাট ও অনিয়ম চলে আসছে সিলেট সমাজসেবা অধিদপ্তরে, নিজেদের বিবেককে বিসর্জন দিয়ে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের অর্থ লুটপাট করে এই দুই কর্মকর্তা হয়ে গেছেন শত কোটি টাকার মালিক।
একাধিক অনুসন্ধানী তথ্যে জানা যায় পরিচালক শহিদুল ইসলাম চাঁদপুরে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং সেখানেও ব্যাপক ঘুষ দুর্নীতি ও অনিয়ম করে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তার বিরুদ্ধে তৎকালীন সময়ে একাধিক অভিযোগ জেলা প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, ঢাকা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত এসেছিল কিন্তু সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে গভীর সখ্যতা থাকার কারণে তিনি সবকিছু ধামাচাপা দিতে সক্ষম হন এবং শাস্তির বদলে পুরস্কার নিয়ে পরিচালক হিসেবে সিলেটে যোগদান করেন যেটা তৎকালীন সময়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
শহিদুল ইসলাম পরিচালক হিসেবে সিলেটে যোগদানের পরও তারা অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য থেমে থাকে নি প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছেন তার সঙ্গে রয়েছে আরেক দুর্নীতিবাজ বিতর্কিত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আব্দুর রফিক, দুজনেই ঘুষ দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায় পরিচালক শহিদুল ইসলাম অবৈধ অর্থে চট্টগ্রামের হাটহাজারী কাটাখালী এলাকায় একাধিক বাড়ি নির্মাণ করেছেন রয়েছে চট্টগ্রাম শহরে একাধিক ফ্লাট রাজধানী ঢাকায়ও তার বেশ কিছু জমি রয়েছে এবং আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য অধিকাংশ সম্পদ স্ত্রী সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে ক্রয় করেছেন বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে, পরিবারের সদস্যদের জন্য রয়েছে একাধিক গাড়ি, এগুলো সবই তার অবৈধ উপার্জিত অর্থ দিয়ে করা।
উপ-পরিচালক আব্দুর রফিকের সম্পদ পরিমাণ ও অনেক, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এতিম স্কুল রোডে পাঁচ তলা তিনটি বাড়ি ক্রয় করেছেন অথচ তার বাবা ছিল একজন রিকশাচালক, সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর জীবনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেছেন অসহায় মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করে, তার বেতনের টাকা দিয়ে তিনটি পাঁচতলা বাড়ি করা কোনভাবেই সম্ভব না, চলা চলার জন্য রয়েছে একটি প্রাইভেট কার আনুমানিক ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন এবং আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য গাড়িটি অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা শুধুমাত্র ট্রাম্পের মাধ্যমে নিজের নামে ক্রয় করেছেন, ব্যাংকে গুচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ও বিশাল।
সিলেট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নাম প্রকাশ না করে বলেন পরিচালক শহিদুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক আব্দুর রফিক দুজনে ফার্স্ট ক্লাসের বাটপার, এদের কোন বিবেক ও মানবিকতা নেই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা এর আত্মসাৎ করে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ নেই অবৈধ অর্থ দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করে ফেলে, তবে সকলের দাবি এই ধরনের অসাধু বিবেকহীন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে তাহলেই পরবর্তীতে এ ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি করার কেউ সাহস পাবে না।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পরিচালক শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী ফারহানা লাভলী ও ছেলে আজমাইন দাইয়ান, এবং উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রফিক তার স্ত্রী নাজমা আক্তার, দুই কন্যা নুজহাত তাবাসসুম ও জারিন তাবাসসুমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দপ্তরে সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি প্রেরণ করেছে।