২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেশের প্রধান দুই শত্রু বিএনপি আর ডেঙ্গু: ওবায়দুল কাদের মিয়ানমারের নাগরিকের সহযোগিতায় মানব পাচার পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন নবাব আলী হাসিব খান বানভাসি মানুষের পাশে মুগদা থানা ইমাম উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি মুফতি শফিকুল ইসলাম মাজহারীর নগদ অর্থ বিতরণ আদালত কর্তৃক উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যা মামলার ৪ আসামির জামিন আবারও না মঞ্জুর ৩ জেলায় উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ নৌ পুলিশ ও ডাকাতদলের মধ্যে গোলাগুলির আহত ৪, আটক ১ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যাকান্ডে জড়িতরা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাবলা ডাকাত ও কবিরখালাশীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার


রাজশাহীতে অটোরিকশা চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন
ভোরের ধ্বনি অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১১-২০২১
রাজশাহীতে অটোরিকশা চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন


রাজশাহী মহানগরীতে অটোরিকশা চালক আবদুল কাদের (৫৫) কে গলাকেটে হত্যার করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। এসময় আসামিদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, মোবাইল ফোনসহ ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজশাহীর চারঘাট থানার আল-আমিন (২১), বাঘা থানার মো. জনি (২১) ও নাটোরের লালপুর থানার আরিফুল ইসলাম (৩৫)। রবিবার দুপুরে আরএমপি সদরদফতরে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর রাত একটায় বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ সাগরপাড়ায় ড্রেনে পরে থাকা একটি লাশ উদ্ধার করে। এরপর মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের সময় লাশের পকেটে থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পরিচয় শনাক্ত করেন। নিহত ব্যক্তি রাজপাড়া থানার শ্রীরামপুর এলাকার মৃত কবেজ প্রামাণিকের ছেলে আবদুল কাদের (৫৫) বলে নিশ্চিত হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। 

আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় আরএমপি অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টারের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা এবং তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার রাতে বোয়ালিয়া মডেল থানার একটি দল অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত আল-আমিন (২১) কে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ চারঘাট থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি আল-আমিনের দেওয়া তথ্য মতে তার সহযোগী অপর আসামি জনি (২১) কে বাঘা থেকে গ্রেফতার হয় এবং চোরাই অটোরিকশা কেনার অপরাধে নাটোর লালপুর থেকে অটোরিকশার যন্ত্রাংশসহ গ্যারেজ মালিক আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, আগে আল-আমিন ও পলাতক আসামি কাউসার (২০) অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে কাউসার হাতেনাতে আটক হলেও আল-আমিন পালিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত লোকজন কাউসারকে গণধোলাই দিয়ে চারঘাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে কাউসারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর কাউসার ও আল-আমিন এই জরিমানার টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাত ১২টায় আবদুল কাদেরে অটোরিকশাটি ভাড়া করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নির্জন এলাকায় চাকু দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে লাশ সাগরপাড়া নেসকো অফিসের পূর্বে ড্রেনে ফেলে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ছিনতাই করা অটোরিকশাটি আসামি আরিফুলের কাছে ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে। আরিফুল নগদ ২২ হাজার টাকা দেয় এবং অটোরিকশার চার্জার পেলে অবশিষ্ট ২ হাজার টাকা পরিশোধ করবে বলে জানায়। ২২ হাজার টাকার মধ্যে কাউসার জরিমানা বাবদ ১৫ হাজার টাকা নেয়। বাকি টাকা আসামি আল-আমিন, জনি এবং কাউসারের পিতা মাহাবুবুর ভাগাভাগি করে নেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের সহযোগী অপর আসামি কাউসার (২০) ঘটনার পরদিনই গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন কাউসার যে ফোন ব্যবহার করেছিলো, সেটা তার বাড়ি থেকে তার বাবার হেফাজত থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়।

শেয়ার করুন