২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৯:৪১:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশের প্রধান দুই শত্রু বিএনপি আর ডেঙ্গু: ওবায়দুল কাদের মিয়ানমারের নাগরিকের সহযোগিতায় মানব পাচার পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন নবাব আলী হাসিব খান বানভাসি মানুষের পাশে মুগদা থানা ইমাম উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি মুফতি শফিকুল ইসলাম মাজহারীর নগদ অর্থ বিতরণ আদালত কর্তৃক উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যা মামলার ৪ আসামির জামিন আবারও না মঞ্জুর ৩ জেলায় উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ নৌ পুলিশ ও ডাকাতদলের মধ্যে গোলাগুলির আহত ৪, আটক ১ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যাকান্ডে জড়িতরা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাবলা ডাকাত ও কবিরখালাশীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার


তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
ভোরের ধ্বনি অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১০-২০২১
তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি


উজানের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ২২টি চরে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ নামক স্থানে ১০০ মিটার বাঁধ।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারীসহ ১০টি ইউনিয়ন এলাকার ২২টি চর গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ। চরাঞ্চলের এসব বাড়িঘরে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি উঠেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। রাত ১২টার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করলে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়। আজ বুধবার সকাল ৯টায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর ইসলাম জানান, রাত থেকে মাইকিং করে ছাতুনামা, কেল্লাবাড়ী ও ভেন্ডাবাড়ি চরের মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষদের শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা জানান, উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যা তিস্তা পয়েন্টে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ পানি প্রবাহ। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। কালিগঞ্জে স্পার বাঁধ ভাঙ্গনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটি চরের ভেতরে বাঁধ। তিস্তা নদীর উভয় তীরের বাঁধে কোন সমস্যা হয়নি। পাউবো’র লোকজন সতর্কতার সাথে বাঁধে উপস্থিত থেকে নজরদারি করছে।

শেয়ার করুন