২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৩:১১:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশের প্রধান দুই শত্রু বিএনপি আর ডেঙ্গু: ওবায়দুল কাদের মিয়ানমারের নাগরিকের সহযোগিতায় মানব পাচার পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন নবাব আলী হাসিব খান বানভাসি মানুষের পাশে মুগদা থানা ইমাম উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি মুফতি শফিকুল ইসলাম মাজহারীর নগদ অর্থ বিতরণ আদালত কর্তৃক উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যা মামলার ৪ আসামির জামিন আবারও না মঞ্জুর ৩ জেলায় উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ নৌ পুলিশ ও ডাকাতদলের মধ্যে গোলাগুলির আহত ৪, আটক ১ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যাকান্ডে জড়িতরা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাবলা ডাকাত ও কবিরখালাশীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার


পর্যটনের ভরা মৌসুমে ডাউকি সীমান্তে বাড়ছে চোরাচালান নেতৃত্বে নাজিম-নাসির।
জাকির হোসেন সুমন স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১০-২০২১
পর্যটনের ভরা মৌসুমে ডাউকি সীমান্তে বাড়ছে চোরাচালান নেতৃত্বে নাজিম-নাসির।


সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং সীমান্তে দিয়ে কিছুতেই নিবৃত্ত করা যাচ্ছেনা চোরাকারবারিদের।প্রায়ই আমদানি হচ্ছে নিষিদ্ধ পণ্যসহ অনেকে আটক হলেও দিনের পর দিন তাদের দৌরাত্য বাড়ছেই। শীর্ষ চোরাকারবারি লাইনম্যান নাজমুল হোসাইন নাজিম উদ্দিন ও তার বড় ভাই কার ড্রাইভার নাসির মিয়ার নেতৃত্বে হচ্ছে সীমান্ত চাঁদাবাজি। আর পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে গোয়াইনঘাটের জাফলং,বল্লাঘাট, গুচ্ছ গ্রাম, সোনাটিলা, তামাবিল ও ডাউকি পয়েন্ট দিয়ে দিনের বেলায় ও রাতের অন্ধকারে অভাধে আসছে চোরাচালান অনেকটা অপেন সিক্রেট। বর্তমানে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের ভূমিকাই কিছুটা শিথিল বলে সংবাদকর্মীরদের সাথে আলাপকালে জানালেন একাধিক চোরাকারবারি, এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছে স্থানীয় উত্তর সিলেটের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি মহোদয় এর কাছের মানুষ পরিচয়দানকারী শীর্ষ সীমান্ত চাঁদাবাজ নাজমুল হোসাইন ওরুফে নাজিম উদ্দিন ও তার বড় ভাই কার ড্রাইভার নাসির মিয়া। চোরাচালানের কাজে যেমন বিভিন্ন সীমান্তে থাকা ভারতীয় সাধারণ নাগরিকরা দু’পয়সা কামাইয়ের আশায় সাহায্য সহযোগিতা করেন,তেমনি অভিযোগ আছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের অসৎ সদস্য বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও। অবশ্য বিজিবির বিরুদ্ধেও যে তেমন অভিযোগ নেই, তা নয়। তবে তাদের বক্তব্য সোজা,আমরা কাজ করছি এবং ধরছি। মাঝে মাঝে চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা ঢুকে পড়ছে দেশের বাজারে আরোও বলেন জাফলং এলাকার মন্ত্রী মহোদয়ের কাছের মানুষ পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথে এসব করে যাচ্ছে নাজিম উদ্দিন নামে গুচ্ছ গ্রামের একটা ছেলে। সিলেট বিভাগের চারদিকে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের বিস্তির্ণ সীমান্ত অঞ্চল।পাহাড়টিলা আর বনাঞ্চলের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে কখনো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কখনোবা তাদের মধ্যে দু’একজন অসৎ কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্রায়ই বড় ধরণের চোরাচালান ঢুকছে দেশে। এসব পণ্য সিলেট হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য স্থানে। আর পণ্য তালিকার প্রথম দিকেই অবস্থান ভারতীয় পাতার বিড়ির।বৃহত্তর সিলেটজুড়ে এ বিড়ির গ্রাহকের সংখ্যা হাজার হাজার।এছাড়াও ইদানিং আসছে ইয়াবা,ফেন্সিডিল ইত্যাদি। আসছে বিস্কুটসহ শিশুদের নানা মুখোরোচক খাবার, প্রসাধনী সামগ্রীও। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার সীমান্ত দিয়ে চোরাই মালামাল এলেও গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়েই আসে বেশিরভাগ চোরাই পণ্য। ভারতের খাসিয়ারা বিএসএফ’র সাথে আঁতাত করে পণ্য পাঠায় বাংলাদেশের চোরাকারবারিদের কাছে আর এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছে জাফলং ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের মান্না মিয়ার ছেলে নাজিম উদ্দিন। তারপর স্থানে স্থানে হাত বদল। সম্প্রতি গোয়াইনঘাটের ডাউকি সীমান্তে সরজমিনে গেলে দৈনিক ভোরের ধ্বনি পত্রিকার গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম এর চোখে ধরা পড়ে চোরাচালান নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছেন ২০/৩০ জন চোরাকারবারি এবং নাজিম উদ্দিন ও কার ড্রাইভার নাসির মিয়া এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছে। স্থানীয় সীমান্ত এলাকার জনসাধারণ তারা তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চোরাচালানের ক্ষেত্রে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীরা কখনো শিথিল কখনো কড়াকড়ি আরোপ করে। শিথিলের সময় ধরা পড়লে বুঝিয়ে বা অনুনয় বিনয় করলে ছেড়ে দেয়া হয় আর এসব তগাতরি করে নাজিম উদ্দিন ও ড্রাইভার নাসির মিয়া। সীমান্ত রক্ষীদের ম্যানেজ করে কারবার চলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তারা সরাসরি কোন উত্তর না দিয়ে মৃদু হেসে কেটে পড়েন। তার আগে জানিয়ে যান, এখন চলছে শিথিল সময়। বিশেষ করে পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের মতো করেই ২২/থেকে ২৩ দিন আগের দুইটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হলে খুলে যায় নজরকাড়ানু তথ্য ফাঁস ভিডিওতে চোরাকারবারি দের নিয়ে মিটিং করে কি ভাবে ভারতীয় অবৈধ পণ্য বাংলাদেশে আনবে এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হবে শুধু তাই নয় আরোও বলেন বিজিবি ও ডিবি পুলিশের নামে প্রতি কিট" বা-বস্তা দিতে হবে ১৫০ টাকা করে ভিডিওতে এমন বক্তব্যর ফুটেজ এসপি ও ডিআইজি বরাবর দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন