মঠবাড়িয়া পৌর ডিজিটাল সেন্টারে কেক কেঁটে ১১বছরের পূর্তি উদযাপন।


মাসুদ রানা , আপডেট করা হয়েছে : 15-11-2021

মঠবাড়িয়া পৌর ডিজিটাল সেন্টারে কেক কেঁটে  ১১বছরের পূর্তি উদযাপন।

ডিজিটাল সেন্টার এর ১১ তম বষপূর্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঠবাড়িয়া পৌর ডিজিটাল সেন্টার কর্তৃক উদ্যোক্তা, জনপ্রতিনিধি, সেবা গৃহিতা ও জনসাধারনকে নিয়ে কেক কাটার অনুষ্ঠান আগামী ১৫/১১/২০২১ ইং তারিখ, রোজ সোমবার সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় মঠবাড়িয়া পৌর ডিজিটাল সেন্টার কক্ষে আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী এই প্রকল্প গ্রহনের ফলে দেশের সাধারন নাগরিক এখন সহজে ও কম খরচে, ঝামেলাহীনভাবে সরকারী বেসরকারী সেবা পাচ্ছে। ডিজিটাল সেন্টার কল্যানে সারা দেশের ৪৫১৬ টি গ্রামে গড়ে ৪৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন তথ্য ও সেবা গ্রহন করে আসছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত । উদযাপন অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র (মঞ্জুর রহমান শিকদার ) মঠবাড়িয়া পৌরসভার সচিব, মোঃ হারুন অর রশিদ ও পৌরসভার কাউন্সিলর বৃন্দ সহ প্রশাসন , উদ্যোক্তা , জনপ্রতিনিধি , সেবা গ্রহীতাগণ উপস্থিত ছিলেন। মঠবাড়িয়া পৌর ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা এ টু আই এর উদ্যোক্তা জনাব নাঈম মাহমুদ শুভেচ্ছা বক্তব্য এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যাবস্থাপক মোঃ ইমরান হোসেন, কাস্টমার রিলেশন অফিসার জনাবা সাবিনা ইয়াসমিন। এ সময় বক্তারা ডিজিটাল বাংলাদেশএর বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়া বলেন, এ দেশ শত ভাগ ডিজিটাল করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। বাড়ছে সেবার বহর গ্রাম হবে শহর। মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধমে ২০৪১ বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ, যা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্মলালিত স্বপ্ন।ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন নয়, এক বাস্তবতা। তিনি বলেন, ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে তৃণমূলে জনগণ আজ সরাসরি উপকার পাচ্ছেন। ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক দূরদর্শী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেও তিনি জানান। উল্লেখ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টারে ২৭০টির বেশি সেবা দেওয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জমির পর্চা, নামজারি, ই-নামজারি, পাসপোর্টের আবেদন ও ফি জমাদান, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, হাজ্ রেজিস্ট্রেশন, সরকারি সেবার ফরম, স্ট্যাম্প বিক্রয়, জীবন বীমা, বিদেশে চাকরির আবেদন সহ অন্যান্য সেবা। এছাড়াও মঠবাড়িয়া পৌর ডিজিটাল সেন্টার থেকে আধুনিক সকল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ফ্রীতে ব্যাংক একাউন্ট খোলায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ব্যাংকিং সেবার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। এছাড়াও রেমিট্যান্স প্রদান, সরকারি বেসরকারি সকল ধরনের ভাতা, উপবৃত্তি প্রদান করা হয় এবং সকল ধরণের উটিলিটি বিল গ্রহণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মঠবাড়িয়া পৌর ডিজিটাল সেন্টার এর উদ্যোক্তা জনাব নাঈম মাহমুদ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে নতুন নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে বক্তব্য রেখে বলেন শিগ্রহি মঠবাড়িয়া বাসীর জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে মঠবাড়িয়া আইটি ইনস্টিটিউট চালু হতে যাচ্ছে এবং মঠবাড়িয়া অনলাইন শপ এর কার্যমান চলমান রয়েছে। উদ্যোক্তাদের আরো বেশী সেবার মান বৃদ্ধি পেলে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্প হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।


উপদেষ্ঠা : আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, ১৫৬ ময়মনসিংহ ১১ (ভালুকা), সদস্য, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সম্পাদকঃ মো এনায়েত হোসেন

সহ-সম্পাদক : মেছ মাউল আলম (মোহন)

প্রকাশক। মোঃ বোরহান হাওলাদার (জসিম)

নির্বাহী সম্পাদকঃ বীর মুক্তিযুদ্ধা জোনাস ঢাকী।

বার্তা সম্পাদক : মো: সোহেল রানা