সুন্দরবনে শুঁটকি আহরণে রাজস্ব নির্ধারণ ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা


ভোরের ধ্বনি অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 04-11-2021

সুন্দরবনে শুঁটকি আহরণে রাজস্ব নির্ধারণ ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা

বঙ্গোপসাগর উপকূলে সুন্দরবনের দুবলার চরে চলছে ৫ মাসব্যাপী শুঁটকি মৌসুম। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার জেলে সেখানে জড়ো হয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরণ শেষে তা রোদে শুকিয়ে শুঁটকি প্রক্রিয়া করবেন তারা। আর এই মাছ চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ বিদেশেও বাজারজাত করবেন রফতানিকারকরা।

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ১৩টি চরে মৎস্য আহরণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র নিয়ে গঠিত দুবলার অস্থায়ী জেলে পল্লী। এবার এই শুঁটকি মাছ তৈরিতে তিন কোটি ২২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সুন্দরবন বিভাগ।

গত মৌসুমে শুঁটকি আহরিত হয়েছিল ৪৫ হাজার মেট্রিক টন এবং তা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন কোটি ২২ লাখ টাকা। যদিও সে বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন কোটি ২০ লাখ টাকা।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এবছর ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পাঁচ মাস বঙ্গোপসাগর পাড়ের দুবলা, মেহের আলীর, আলোরকোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেল বাড়িয়া, ছোট আম বাড়িয়া, বড় আম বাড়িয়া, মানিক খালী, কবর খালী, চাপড়া খালী, কোকিলমনি ও হলদা খালীর চরে জেলেরা শুঁটকি প্রক্রিয়া করবেন। এ কারণে তাদের বনবিভাগ থেকে পাস পারমিট দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলেরা নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই সেখানে চলে গেছেন।

এবার বাগেরহাটের মোংলা, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, চট্টগ্রামসহ সুন্দরবন উপকূলের কয়েক হাজার জেলে মাছ আহরণ ও শুঁটকি তৈরির জন্য সাগরপাড়ে অস্থায়ী বসতি গড়ে তুলেছেন। এ জন্য জেলেদের ৯৮৫টি ঘর এবং ৬৬টি ডিপো তৈরির অনুমোদন দিয়েছে পূর্ব সুন্দরবন। এসব ঘর বা ডিপোতে ওঠা প্রতি কুইন্টাল রুপচাঁদা ও লাটক্ষা মাছের শুঁটকি থেকে ১৫০০ টাকা এবং অন্য সাধারণ মাছের শুঁটকি মাছ থেকে প্রতি কুইন্টাল ৫০০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হবে। এছাড়া জেলেদের ঘর ও ডিপো প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হবে বলেও জানায় বন বিভাগ।

শুঁটকি তৈরির জেলে শহিদ মল্লিক, বোরহান উদ্দিন, বেল্লাল হোসেন বলেন, সমুদ্রের লোনা পানি থেকে লইট্টা, ছুরি, খলিসা, ভেদা, চিংড়ি, ইছা ও ররুপচাঁদা মাছ আহরণ করেন তারা। এরপর টানা তিন থেকে চারদিন সেই কাঁচা মাছ রোদে শুকিয়ে প্রায় একশ প্রজতির শুঁটকি তৈরি করেন। শুঁটকি মাছ তৈরি করতে আগামী পাঁচ মাস সেখানে অবস্থানের অনুমতি মিলেছে। এই পাঁচ মাসে প্রয়োজনীয় রসদসহ যাবতীয় সবকিছু তারা সঙ্গে নিয়ে দুবলার চরে গেছেন প্রায় ১৫ হাজার জেলে।


উপদেষ্ঠা : আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, ১৫৬ ময়মনসিংহ ১১ (ভালুকা), সদস্য, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সম্পাদকঃ মো এনায়েত হোসেন

সহ-সম্পাদক : মেছ মাউল আলম (মোহন)

প্রকাশক। মোঃ বোরহান হাওলাদার (জসিম)

নির্বাহী সম্পাদকঃ বীর মুক্তিযুদ্ধা জোনাস ঢাকী।

বার্তা সম্পাদক : মো: সোহেল রানা