মা ও ভাইকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ যুবকের


ভোরের ধ্বনি অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 16-09-2021

মা ও ভাইকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ যুবকের

সম্পত্তি নিয়ে অশান্তির জেরে মা ও সেজো ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে এক যুবক।বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতের পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের হীরাপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

জানা গেছে, নিহত নারীর নাম আখতারি বেগম। তার চার ছেলে। সকলেই আলাদা থাকতেন। ঘুরে ফিরে সব ছেলেদের কাছেই থাকতেন আখতারি বেগম। কিছুদিন আগে হীরাপুরের আজাদনগরে ছোট ছেলের কাছে যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই আখতারি বেগমের মেজো ছেলে মহম্মদ আনোয়ার আলম ছোট ভাইয়ের বাড়ি যায়। তার আগে ফোন করে সেজো ভাই মহম্মদ আফতাব আলমকেও সেখানে ডেকে নেয় সে। জানায়, সম্পত্তি সংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে। ভাইয়ের ডাক পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ছোট ভাইয়ের বাড়ি যান আফতাব। ভাবতেও পারেননি এই বিপদ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।

এদিন আনোয়ার এক প্যাকেটে চিপস, ফল নিয়ে ঢোকেন ছোট ভাইয়ের বাড়িতে। সেই প্যাকেটের ভেতরে ছিল ধারালো অস্ত্র। বাড়িতে ঢুকেই প্রথমে মা আখতার বেগমে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে বাথরুমে আটকে দেয় আনোয়ার। অস্ত্র দেখিয়ে সেজো ভাইকে বন্ধ করে দেয় রান্নাঘরে। ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও তার সন্তানদের বন্ধ করে রাখে অন্য একটি ঘরে।

এরপরই বাথরুমের পানিতে ডুবিয়ে মাকে খুন করে আনোয়ার। আর গলা কেটে দেয় সেজো ভাইয়ের। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন আফতাব। মা ও সেজো ভাইকে খুনের পর দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে সোজা হীরাপুর থানায় হাজির হয় অভিযুক্ত। সেখানে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

বিষয়টি জানা মাত্রই ঘটনাস্থলে যান হীরাপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তারা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কারণে খুন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সম্পত্তি নিয়ে অশান্তির কারণে এই ঘটনা।


উপদেষ্ঠা : আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, ১৫৬ ময়মনসিংহ ১১ (ভালুকা), সদস্য, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সম্পাদকঃ মো এনায়েত হোসেন

সহ-সম্পাদক : মেছ মাউল আলম (মোহন)

প্রকাশক। মোঃ বোরহান হাওলাদার (জসিম)

নির্বাহী সম্পাদকঃ বীর মুক্তিযুদ্ধা জোনাস ঢাকী।

বার্তা সম্পাদক : মো: সোহেল রানা